স্বৈরাচারের দোসরদের পুনর্বাসনের চেষ্টায় বিএনপি

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান এর অন্যতম সহযোগী মুছাপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শাহিন আহম্মেদের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগীরা এখন বিএনপি নেতা বনে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সম্প্রতি ২৭নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী হওয়া এবং ২৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ফারুক হোসেন এখন বিএনপি নেতা বনে গেছেন। সেই সাথে তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় ৪টি মামলার আসামি হলেও বিএনপি নেতাদের আর্শীবাদ থাকায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেনি। এরমধ্যে তিনি ৪টি মামলায় জামিন নিয়েছেন। আর সেই সকল মামলা থেকে জামিন পেতে মহানগর বিএনপির আহŸায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান এর হস্তক্ষেপ ছিলো বলে অভিযোগ তুলেছেন বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ। ফারুক সহ আওয়ামী লীগের অনেককেই সাখাওয়াত হোসেন খান জামিন করিয়েছেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছেন হিরণ। আরো অভিযোগ রয়েছে, শাহিন আহম্মেদ, ফারুক হোসেনকে শুধু জামিন পেতেই সহযোগিতা করেননি তাকে রীতিমত বিএনপি নেতা বানিয়ে দিয়েছেন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে যেখানে শাহিন আহম্মেদ এর নেতৃত্বে বিএনপির মিছিলে ফারুক হোসনকে মিছিলের সামনে দেখা গেছে। সেই সাথে গত ৫ জানুয়ারি দুপুরে বন্দরের নাসিক ২৭নং ওয়ার্ডের কুড়িপাড়া এলাকায় ফিরোজ মিয়ার ছেলে সাবেক কাউন্সিলর প্রার্থী মো. ফারুক মিয়া তার নিজ বাড়িতে খাবারের আয়োজন করে। উক্ত আয়োজনে বিএনপি নেতা সহ বন্দর থানার ওসিও উপস্থিত ছিলেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। দাওয়াত অনুষ্ঠানে ওসি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য শাহিন আহাম্মেদ, বন্দর থানা বিএনপি নেতা শাহনেওয়াজ, বিএনপির নেতা পনেছ, ২২ নংওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মো. রাসেল, বন্দর থানা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এবং মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী সাকিব রায়হান সহ বিএনপির অসংখ্য নেতা-কর্মী। যারা সকলের বিএনপির রাজনীতিতে মহানগর বিএনপির আহŸায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান পন্থি বলে পরিচিত। এ ঘটনাকে ঘিরে গোটা বন্দর জুড়ে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করছে। বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীদের দাবি, যারা বিগত ১৬/১৭ বছর আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের দল করে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হামলা করেছে, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর তারাই এখন বিএনপির নেতাদের হাত ধরে বিএনপিতে ঢুকে যাচ্ছে। বিএনপিতে ঢুকে যাওয়ার সুবাধে মামলা থেকে জামিন পেয়ে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাহলে এতোদিন আমরা যে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে বিভিন্ন হামলা হামলার শিকার হয়ে বাড়িঘর পরিবার ছেড়ে মাঠে প্রান্তরে ঘুরে বেড়িয়েছি সেই সকল ত্যাগ আজ বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে দলের দু:সময়ে আর কোন ত্যাগী কর্মীদের খুঁজে পাওয়া যাবেনা। এখনই সময় দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে দলীয় সাইনবোর্ড ব্যবহার করে এসব সুবিধাভোগী ফ্যাসিস্ট সরকারের দলীয় নেতাকর্মী, ও দোসরদের বিএনপিতে অনুপ্রবেশ ঠেকানো। নয়তো ভবিষ্যতে বিএনপিকেও এই ফ্যাসিস্ট দল আওয়ামী লীগের মত চরম মূল্য দিতে হবে।