ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
“হে কলম যোদ্ধা, হে প্রিয় মুখ, অকালে চলে গেলে আমাদের ছেড়ে যে খানে থেকো ভালো থাকো, এই প্রত্যাশা রইল মহান আল্লাহর কাছে।” বেদনাদায়ক এই বাণীর মধ্য দিয়ে ‘দারুল ইশাবা হোসাইনিয়া খানকা শরীফ’র আয়োজনে প্রয়াত সাংবাদিক মো. তোফাজ্জল হোসেনের স্মরণে শোক সভার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে বাদ যোহর নারায়ণগঞ্জ শিল্প কলা একাডেমীতে ওই সভার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় প্রয়াত সাংবাদিক মো. তোফাজ্জল হোসেন’র স্মরণে কোরআন খতম, দোয়া ও আলোচনা করা হয়। সভায় উপস্থিত বক্তা ও প্রয়াত সাংবাদিক তোফাজ্জল হোসেন’র সহ কর্মীরা তার সাথে কাটানো স্মৃতিময় সময় স্বরণ করেন। সভায় প্রয়াত সাংবাদিক মো. তোফাজ্জল হোসেন’র বড় ছেলে মো. সবুজের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি’র সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমদ, দৈনিক সংবাদ এর চিফ রিপোরর্টার সালাম জুবায়ের, প্রবিন সাংবাদিক আবুল হোসেন, সাংবাদিক নুরুল ইসলাম নুরু, দৈনিক অগ্রবাণীর সম্পাদক স্বপন চৌধুরী, জাতীয় দৈনিক সমকালের জেলা প্রতিনিধি শরিফ উদ্দিন সবুজ, মহানগর বিএনপি’র যুগ্ম আহŸায়ক ফতেহ মো. রেজা রিপন, ১৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানাসহ জেলার বিভিন্ন পর্যায়ে সাংবাদিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মঈনুউদ্দিন আহমদ বলেন, সাংবাদিক তোফাজ্জল এর যে জিবন, এটা নিয়ে অল্প কথা বলে শেষ করা যাবে না। বহু প্রতিভার অধিকারী ছিলেন সাংবাদিক তোফাজ্জল। মানুষ হিসেবে সবার দুইটা দিক আছে। কেউ তাকে অনেক পছন্দ করতো, আবার কেউ হয় তো তাকে পছন্দ নাও করতে পারে। আমার মনে হয়, তোফাজ্জলকে পছন্দ করতো না, এমন মানুষ পাওয়া কঠিন। ৮ম শ্রেনি থেকে তোফাজ্জল আমার সাথেই থাকতো। তোফাজ্জলের আচরণ, তার জিবন, তার কার্যক্রম; সব কিছু মিলে মানুষ তোফাজ্জলকে স্মরণ করবে। আমরা এখানে যারা আছি, তোফাজ্জলের জিবন থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, আমরা অন্যায়কে কখনো মেনে নেই নাই। তোফাজ্জল ভাইও মেনে নেন নাই। অন্যায়কে মুখের উপর প্রতিবাদ করার মতো একজন লোক ছিলেন তোফাজ্জল ভাই। আপনার চাওয়া-পাওয়ার কিছু না থাকলে আপনার কলম থেমে থাকবে না। আপনাকে কেউ থামিয়ে রাখতে পারবে না। তোফাজ্জল ভাই ছাত্র জীবন থেকে প্রতিবাদী ছিলেন, স্পষ্টবাদী ছিলেন। কখনো কোন প্রতিবন্ধকতা তাকে দাবিয়ে রাখতে পারে নাই। একসময় সত্য লেখার কারনে গডফাদাররা তাকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করে জেলে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। যেই কোন সংবাদ সংগ্রহ করতে উনি রিকশা দিয়ে যেতে না পারলে, হেটে যেতেন; কেননা উনার মুল উদ্দেশ্য ছিলো সংবাদ সংগ্রহ করা ও পরিবেশন করা। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যখন মারা যান, তখন তার জানাজায় লাখ লাখ মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন। কারণ, তার প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতাবোধ ছিলো। অপরদিকে আরেকজন নেতা মারা গিয়েছিলেন ১৯৭৫ সালে, জানাজা দেওয়ার লোকও ছিলো না। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে টিপু বলেন, যাই করবেন দায়িত্ব নিয়ে করবেনা। অন্যায় এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবেন, ইচ্ছাকৃত ভাবে কিছু করবেন না। আমি যা করি তাই লিখবেন। আমি অপরাধ করলে সেটা লিখবেন, আমি ভালো কাজ করলে সেটাও লিখবেন। আমি মনে করি, তোফাজ্জল ভাইয়ের মতো সাংবাদিক নারায়ণগঞ্জে আরো প্রয়োজন। তার মতো সাংবাদিক থাকলে আর কোন গডফাদার সৃষ্টি হবে না, গডমাদার সৃষ্টি হবে না; সন্ত্রাস-দখলদারিত্ব থাকবে না। সাংবাদিকতা আর রাজনীতি করতে গেলে কেউ খুশি হবে আবার কেউ নারাজ হবেই। তোফাজ্জল ভাই যদি কাউকে কোন কষ্ট দিয়ে থাকলে তাকে ক্ষমতা করে দিবেন। তার মতো নির্লোভ মানুষ সমাজে খুব কম। দৈনিক সংবাদ এর চিফ রিপোরর্টার সালাম জুবায়ের বলেন, এমন শোক সভায় দাঁড়ালে স্মৃতি ভারাক্রান্ত হয়ে যাই। আল্লাহ আমাদের অনেককেই ডেকে নিয়ে যাচ্ছে। যার যতটুকু আয়ু, আমরা ততটুকুই থাকবো। কিন্তু আমাদের কর্মই মানুষের মধ্যে স্বরণীয় হয়ে থাকবে। তোফাজ্জল এমন একজন মানুষ ছিলেন যে, তার ব্যবহার আচার আচরণে তাকে মনে না রেখে কোন উপায় নেই। আমাদের কর্ম আদর্শ দিয়ে যেমন আমরা চলতে পারি, তেমনি সমাজেরও উপকার করতে পারি। বর্তমান সমাজে যে অস্থিরতা, নীতিহিনতা, অরাজকতা দেখলে মাঝে মাঝে ভালো কিছু মানুষের কথা মনে পড়ে। তারা যদি কিছুদিন থাকতো তাহলে হয়তো তাদের ভালো কাজ দিয়ে, আমাদের ধাবিত করতে পারতো। আমরা যত বড় বড় কথা বলি তার চেয়ে আসলে আমাদের বেশী কাজ করা দরকার। সভা শেষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মঈনুউদ্দিন আহমদ দোয়ার মাধ্যমে, প্রয়াত সাংবাদিক মো. তোফাজ্জল হোসেন’র জন্য দোয়া ও মুনাজাত করেন।
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের সাথে সাথে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তার দোসররা কেউবা পালিয়েছে আবার কেউ আত্মগোপনে রয়েছে। বিগত পতিত সরকারের আমলে পেশাদার সাংবাদিকরা সব কিছু দেখলেও কোন কিছুই লিখতে পারতনা। আকাঁরে ইঙ্গিতে কোন কিছু লিখলেই সেইসব সাংবাদিকের উপর খর্গ নেমে […]
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামীলীগ সরকারের অকল্পনীয় পতন ঘটে। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগের দিনও ভাবেনি তার সরকারের শুধু পতনই ঘটবে না, বরং তাকে চুপিসারে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হবে। আওয়ামীলীগের পতন ও শেখ হাসিনার পলায়নের পর পরই আওয়ামীলীগের তৃনমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও আত্মগোপনে চলে যায়। এর […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯