আজ মঙ্গলবার | ২১ জানুয়ারি ২০২৫ | ৭ মাঘ ১৪৩১ | ২০ রজব ১৪৪৬ | রাত ১০:৩৯

সংঘাতের পথে বন্দর উপজেলা বিএনপি

ডান্ডিবার্তা | ২০ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১০:১৭ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন বন্দর উপজেলা বিএনপিতে মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু অনুগামীরা দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর সাখাওয়াত ও টিপু অনুগামীদের মাঝে বিভিন্ন সেক্টর নিয়ন্ত্রণ, চাঁদাবাজি দখলবাজি নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েন। স্থানীয়রা জানান, স¤প্রতি বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ ও সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ লিটনের বিরুদ্ধে সাখাওয়াত অনুগামী ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহসীন মিয়া, মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহেন শাহ মিঠু, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোটা শাহিন, বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির সহ ৪৩ জন নেতার স্বাক্ষরিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের মাধ্যমে তারেক রহমানের বরাবর এই লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, ৫ আগস্টের পরপর দুুটি গ্রæপই দখলবাজি, চাঁদাবাজিতে মত্ত হয়ে ওঠেন। দখলবাজি চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সেক্টর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই গ্রæপের মাঝে বিরোধ সৃষ্টি হয়। বন্দর ‍উপজেলায় হিরন ও লিটনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণের জাল বিছায় টিপু। অপরদিকে আরেক গ্রæপের দাবী মহানগর বিএনপির সদস্য ও মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহিনের মাধ্যমে বন্দরের বিভিন্ন সেক্টর নিয়ন্ত্রণে নামেন সাখাওয়াত। শাহীনের মাধ্যমেই বন্দর উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনকে সাখাওয়াতের কব্জায় নেন। এছাড়াও সাখাওয়াতের আয়ের পথ বাড়াতে বেশকজনকে সাখাওয়াতের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেয় শাহীন। মহানগরীর ২৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ফারুক হোসেনকে বিএনপির কর্মস‚চিতে নিয়ে আসেন শাহিন। তার আগে সাখাওয়াতের দরবারে আনা হয় তাকে। এসব কারনে হিরণ গণমাধ্যমে বলেছেন, শাহিন মুরগী ধরে সাখাওয়াতের কাছে নেয়, সেই মুরগী সাখাওয়াত জবাই করে। গত বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পূর্বেই শাহিনের মাধ্যমে মাকসুদের সঙ্গে সাখাওয়াতের সম্পর্ক তৈরি হয়। কারন শাহিন অতীতে মাকসুদের নির্বাচনে লাঙ্গলের নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা মিছিল মিটিং করতেন যার ছবি ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে বহুবার। বিএনপি নেতা আতাউর রহমান মুকুলকে ফেল করাতে তখন মাকসুদের পক্ষ নেয় সাখাওয়াত। ৫ আগস্টের পর মাকসুদ হোসেন আবারো সাখাওয়াতের দরবারে ধর্না দেন। সাখাওয়াতকে ম্যানেজও করেন। বিনিময়ে মাকসুদ হোসেন মুছাপুর, ধামগড় ইউনিয়ন সহ এর আশপাশের সকল সেক্টর নিয়ন্ত্রণ করবেন বলে তাদের মধ্যে বোঝাপড়া হয়। কিন্তু বাধ সাধে গত ১ ডিসেম্বর টিপু অনুগামী ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদ খন্দকার ও মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তাঁরা মিয়া জহিদ্দার বিলে মাকসুদের বোন লাভলী বেগম মেম্বার ও বোন জামাতা আমান উল্লাহর সেচ প্রকল্পের দখলে গেলে। সাখাওয়াতকে ম্যানেজ করে লাভলী মেম্বার ও আমান উল্লাহ প্রকল্পের কাজ চালিয়ে গেলেও দখল করার চেষ্টা করতে থাকে টিপু অনুগামীরা। পরবর্তীতে ১ ডিসেম্বর দখলে গেলে মাকসুদের লোকজন জাহিদ খন্দকার ও তাঁরা মিয়াকে পিটিয়ে পুকুরের পানিতে ফেলে চুবিয়েছেন। পেছনে সমর্থন যুগিয়েছে সাখাওয়াত অনুগামীরা। সেই থেকে প্রকাশ্য বিরোধ বাড়তে থাকে সাখাওয়াত ও টিপু অনুগামীদের মাঝে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা