ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বন্দর উপজেলা বিএনপির বিরোধী এখন চরম আকার ধারণ করেছে। বন্দর উপজেলা বিএনপিতে সাখাওয়াত পন্থি দুই গ্রæপের মধ্যে বিরোধ এমন আকার ধারণ করেছে তা যে কোন সময় সংঘাতে রূপ নিতে পারে। গত রোববার এক গ্রæপ বতমান কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে একই দলের অপর গ্রæপ সংবাদ সম্মেলন করে বিষদগার করেন। গতকাল সোমবার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদ ঐ গ্রæপের বিপক্ষে সমাবেশ করে হুমকি দেয়। সমাবেশে বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ বলেছেন, এখন অনেকের শখ জেগেছে। অনেক টাকা পয়সার মালিক হবে, বাড়ি গাড়ি করবে। তাই ১৭ বছর যে জুলুম অত্যাচার, দখলবাজের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি, আজকে আমরাই দখলবাজ হয়ে গেলাম। আমি ১৮টি মামলা খেয়েছি আপনাদের মামলা কয়টা? ৪০ বছরের রাজনীতিতে কারো থেকে ১০টাকা চাঁদা নিয়েছি একটা প্রমান নিয়ে আসবেন, স্বেচ্ছায় রাজনীতি ছেড়ে দিবো। অন্য সাবধানে কথা বলবেন, আর একবার উল্টাপাল্টা কথা বলবেন তো সব কিছুর জবাব দিবে জিয়ার সৈনিকেরা। তারা যদি স্বৈরাচারী শেখ হাসিনাকে দেশ থেকে বিতাড়িত পারে, তাহলে যারা কুৎসা রটাচ্ছেন আপনাদেরকে দল থেকে বিতাড়িত করতে পারবে। মনে কইরেন না লঞ্চের পুটকি ধরে আসছি, এদেশে আমরা ভেসে আসি নাই। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন দলের ভেতরে যারা কোনো গ্রæপের সাথে চাঁদাবাজিতে যুক্ত তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। পত্রিকা খুললে দেখবেন এখানে সেখানে চাঁদাবাজি হচ্ছে। সেখানে একটা লোক বিএনপির আছে? অনেক জাতীয় পার্টির লোক, আওয়ামী লীগের লোক টুপি মাথায় দিয়ে বিএনপি হয়ে গেছে। মুছাপুরে বালুর ব্যবসা হচ্ছে এখানে একটা বিএনপির লোক আছে কেউ বলতে পারবেন? সব জাতীয় পার্টি আর আওয়ামী লীগ। হিরণ লিটন চাঁদাবাজি সন্ত্রাসী করে বলেন কিন্তু আপনারা এগুলো চোখে দেখেন না। হিরণ আরো বলেন, আপনাদের যারা মুরুব্বি ছিল শামীম সাহেব সেলিম সাহেব তারা আজকে কোথায়? তারা তো রোবকা পড়ে চলে গেছে। এখন আপনারা আসছেন আমাদের উপর কাদাঁ ছুড়াছুড়ি করতে। আপনারা ভাববেন না আমরা চোখ বুজে থাকি। শামীম সাহেব, সেলিম ওসমানের বউ পোলাপানের সাথে বোগল তলায় লইয়া ছবি উঠান এসব প্রমান আমাদের কাছে আছে। আমাদের বিরুদ্ধে একটা প্রমান দেন যে ওসমান পরিবারের কারো সাথে আমাদের একটা ছবি আছে। আপনারা ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতিকে গ্রেপ্তার করতে কথা বলেছেন সেই রেকর্ড আছে। আর কি প্রমান চান? সাবধান করে দিচ্ছি এরপর থেকে বুঝে শুনে কথা বলবেন। মহানগর বিএনপির আহŸায়ক ও সদস্য সচিবের কাছে অনুরোধ করবো, আপনি আমাদের ডেকে নিয়ে বসেন। যদি একটা অভিযোগের প্রমান পান তাহলে স্বেচ্ছায় মুচলেকা দিয়ে আসবো আর কোনদিন রাজনীতি করবো না। তিনি আরো বলেন, ১৮ বছর যদি দালালি করতাম তাহলে এতো গুলো মামলার আসামি হতে হতো না। গত সংসদ নির্বাচন হলো আমাকেও সেলিম সাহেব ফোন করেছিল। বলে ছিলো হিরণ ভাই আমাদের সাথে দলটা করেন আপনি নিশ্চিত চেয়ারম্যান। আমি বলেছি ভাই আমি রাস্তার লোক, আপনি অনেক বড় মাপের লোক আপনার সাথে আমার রাজনীতি করা সম্ভব না। এতো বড় মাপের লোকেরা আমাদের মাথা কিনতে পারে নাই আর আপনারা বলেন আমরা চাঁদাবাজি করি। আমার কাছে প্রমান আছে কে কার থেকে কত টাকা নিয়েছেন আমার কাছে লিস্ট আছে, প্রমান চাইলে দিবো। আর আপনারা কে কার সাথে গিয়ে দেখা করেন। আপনি তৈমুর আলম খন্দকারের কথা বলেন, আপনার গায়ে এখানো তৈমুরের দেওয়া পাঞ্জাবি। বন্দর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুণ অর রশিদ লিটন বলেছেন, আমাদের দলের ভেতরে কিছু জ্ঞান পাপী আছে মুর্খ। তারা আমাদের নিয়ে কোনো একটা মহলের ইন্ধনে কাদাঁ ছুড়াছুড়ি করতেছে। তারা কারা? একসময় তারা জাতীয় পার্টির মিছিল করেছে, আওয়ামী লীগের দালালী করেছে। বিভিন্ন স্কুল কমিটিতে সুপারিশ করেছে। জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের লোকদের সুপারিশ করেছে। সেখান থেকে কিছু কামাই করতো আমরা বাঁধা দেওয়াতে তাদের সমস্যা হয়ে গেছে। বিগত দিনে যারা আমাদের বাড়িঘরে থাকতে দেয়নাই তাদেরকে যদি আমরা এখন কমিটিতে স্থান দেই তাহলে কি আমাদের লজ্জা থাকবে। যারা জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগ হাসিনার দোসরদের সাথে আঁতাত করবে আমরা তাদেরকে দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দল থেকে বহিষ্কার করবো। দলের ভেতরে ক্ষতিকারক গ্রæপ রাখা যাবে না। যারা মিথ্যাচার করবে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করবে তাদের দলে রাখা যাবেনা। দুষ্টু গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল অনেক ভাল। আমরা এখনো হুঁশিয়ার করে দিতে চাই, ভুলে ভেতরে আছেন ফিরে আসেন। দলের ভেতরে কাদাঁ ছুড়াছুড়ি করবেন না। দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করবেন না। আপনারা উপজেলা বিএনপির সভাপতির বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করেন। ১/১১ এর সময় কোথায় ছিলেন। তখন তো আপনাদের জন্মই হয়নাই। তখন আমি উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। আপনারা দুই দিনের বৈরাগী ভাতেরে বলেন অন্ন। আমরা আপনাদের দেখে নিতে পারি। দলীয় নেতাকর্মীরা শুধু নির্দেশের অপেক্ষায় আছে। কিন্তু নির্দেশ দিবো না। আপনারা যদি নিজেকে থেকে শুধরে যান তো ভাল। নয়তো দলের ভেতরে দুস্কৃতিকারী থাকে আমরা সেটা দেখা নিবো। আপনি আমার বিরুদ্ধে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করেছেন। গায়ে মানে না আপনি মোড়ল। নেতাকর্মীরা আপনাকে মানে না আপনি ফেল করেছেন। ভোটে ফেল করে আপনার গা জ্বলতে পারে। সেই জ্বলনী থেকে যদি আপনি বিএনপির উপর কাদাঁ ছুড়াছুড়ি করেন তাতে দলের ক্ষতি হবে। দলের ক্ষতি হতে দিবো না। আবার সুযোগ হবে নির্বাচন হবে নির্বাচন করবেন। আপনি পাশ করলে মেনে নিবো। এখন আমি পাশ করেছি আমাকে মেনে নিতে হবে। অচীরেই সঠিক পথে ফিরে আসেন। দলের ক্ষতি করলে দল আপনাদের ছাড়বে না, আমরাও আপনাদের ছাড়বো না। বহু মামলা হামলা খেয়ে আমরা টিকে আছি। আর আপনারা দুই ভাই দুই সেক্রেটারি মিলে আমাদের দলের ক্ষতি করবেন সেটা পারবেননা। দলের নেতাকর্মীরা সজাগ আছে। তারা নির্দেশ চায়। নির্দেশ দিচ্ছি না। নির্দেশ দিলে বন্দর মুছাপুর কোথাও থাকতে পারবে না মনে রাখবেন।
ই
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের সাথে সাথে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তার দোসররা কেউবা পালিয়েছে আবার কেউ আত্মগোপনে রয়েছে। বিগত পতিত সরকারের আমলে পেশাদার সাংবাদিকরা সব কিছু দেখলেও কোন কিছুই লিখতে পারতনা। আকাঁরে ইঙ্গিতে কোন কিছু লিখলেই সেইসব সাংবাদিকের উপর খর্গ নেমে […]
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামীলীগ সরকারের অকল্পনীয় পতন ঘটে। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগের দিনও ভাবেনি তার সরকারের শুধু পতনই ঘটবে না, বরং তাকে চুপিসারে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হবে। আওয়ামীলীগের পতন ও শেখ হাসিনার পলায়নের পর পরই আওয়ামীলীগের তৃনমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও আত্মগোপনে চলে যায়। এর […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯