আ’লীগের লিখন এখন বিএনপি নেতা

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
আওয়ামী লীগে নেতাকর্মীদের সাথে দীর্ঘ ১৭ বছর আতাদ করে হঠাৎ করেই ৫ই আগষ্ট পর বিএনপি’র নেতা বনে গেলেন কুতুবপুরের সন্ত্রাস মাদকের গডফাদার লিখন ওরফে লেংড়া লিখন। কুতুবপুরে চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতা, জমি দখল, লুটপাট এমনকি মাদকে গডফাদার হিসাবে পরিচিত এই লিখন। আওয়ামী সরকারের আমলে কুতুবপুরের মাদক ও সন্ত্রাস এর গডফাদার সন্ত্রাসী মীর হোসেন মিরুর ও কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক মুন্সী ও কুতুবপুরে অনেক আওয়ামী লীগ নেতার ছত্রছায়ায় নিজেকে সন্ত্রাসী বনে নিয়ে গিয়েছিলেন লিখন। আর গড়ে তুলেছেন এলাকায় সন্ত্রাসী ও মাদকের একটি চক্র কুতুবপুরের শরীফবাগ, আমতলা, নিশ্চিন্তপুর, দৌলতপুর,মুন্সিবাগ, শহীদ নগর, আদর্শ নগর এলাকায় লিখনের ছিল আলাদা আলাদা মাদক বিক্রির জন্য বাহিনী। লিখনের মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ মূলত কাজ করতো তার ভাগিনা আবির হোসেন, আবির দীর্ঘদিন ধরে কুতুবপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে এলাকায় মাদক কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ সহ আওয়ামী লীগের সকল সভা সমাবেশে যোগ দিতেন নেতাকর্মী নিয়ে। মূলত মামা লিখন কে কিশোর গ্যাং এর শেল্টার দিতেন আবির যেন কুতুবপুরের এক মাদক ব্যবসার অন্যতম নাম। কুতুবপুরে নিশ্চিন্তপুর, শরীফবাগ, আদর্শ নগর, নুরবাগ তার আশপাশের এলাকাগুলোতে মাদক বিক্রি চাঁদাবাজি সাধারণ মানুষের জমি বিক্রির টাকা আত্মসাৎসহ না না অপকর্মের হতে ছিলেন এই লিখন, তাই এলাকার সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ী অতিষ্ঠ হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ রেব সহ প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে সন্ত্রাসী লিখন এর বিরুদ্ধে অর্থ শতাধিক অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৮ সালে নারায়ণগঞ্জের জেলা গোয়েন্দা পুলিশ লিখন কে মুন্সিবাগ এলাকার যুবলীগ নেতা রোমানের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেফতারের পরই তাকে নিয়ে এলাকায় অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারে জান সেখানে গেলে সন্ত্রাসী লিখন এর বাহিনী ডিবি পুলিশ কে উদ্দেশ্য করে গুলি করলে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে এর একপর্যায়ে ডিবি পুলিশের গুলি লিখনের পায়ে লেগে গেলে, লিখনের পাঁ চিকিৎসাধীন অবস্থায় কেটে ফেলা হয়ে ছিলো। তবে পা হারিয়ে লিখন যেন আলাদিনের চেরাগ ফিরে পেয়েছিল থেমেছিল না তার অপরাধ জগত মাদক চাঁদাবাজি ভূমিদস্যুতা বিভিন্ন সন্ত্রাসীর পালিত বাহিনী হয়ে বিভিন্ন মানুষের জমি দখলসহ না না অপকর্ম করে বেরিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের পালিত সন্ত্রাসী লিখন। তাই অচিরেই লিখনকে পুনরায় গ্রেফতার করে কুতুবপুর কে মাদক সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজ মুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন কুতুবপুরের সাধারণ মানুষ।