আজ মঙ্গলবার | ২১ জানুয়ারি ২০২৫ | ৭ মাঘ ১৪৩১ | ২০ রজব ১৪৪৬ | সকাল ১০:৪১

নিয়াজের বিরুদ্ধে এসপি ডিসির কাছে অভিযোগ

ডান্ডিবার্তা | ২১ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১০:০৬ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
হেফাজত কর্মী হত্যা মামলার আসামি নিয়াজ উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের বন্দরে একটি মসজিদের জমি দখল ও মসজিট কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগে জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত দিয়েছে এলাকাবাসী। লিখিত অভিযোগে নিয়াজ উদ্দিনকে ‘মামলাবাজ’ বলেও উল্লেখ করেছেন তারা। গত রোববার জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের কাছে বন্দর উপজেলার জালাল সরদার জামে মসজিদের পক্ষে লিখিত অভিযোগ দেন কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন। লিখিত অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে, নিয়াজ উদ্দিন মসজিদের ৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ জমি দখল করে আছেন। মসজিদের দেয়াল নির্মাণেও তিনি বাধা দিচ্ছেন। এর প্রতিবাদ জানালে নিয়াজ মসজিদ কমিটির সদস্য ও বন্দর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহম্মদ ও অপর সদস্য গোলাম হোসেনসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, নিয়াজ উদ্দিন আহমেদ একজন মামলাবাজ, দখলবাজ ও দুষ্ট প্রকৃতির লোক। শিক্ষার্থী-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বিভিন্ন মামলায় লোকজনকে অন্তর্ভুক্ত করে সে হয়রানি করছে। গত ২৬ ডিসেম্বর একটি মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহম্মেদসহ অন্যান্যদের নামে মিথ্যা মামলাটি দায়ের করে। ‘আমরা এলাকাবাসী ও পঞ্চায়েত তার এ কর্মকান্ডে ভয়ের মধ্যে দিন পার করতেছি। আমরা আপনার মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জের সকল প্রশাসনের সমন্বয়ে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে নিরপরাধ লোকদের মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি দিয়ে স্বাভাবিক জীবন-যাপনের ব্যবস্থা করাসহ মিথ্যা, মামলাবাজ নিয়াজউদ্দিনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি’, উল্লেখ করা হয় অভিযোগে। অভিযুক্ত নিয়াজ উদ্দিন আহমেদ হেফাজত কর্মী মাওলানা ইকবাল হোসেন হত্যা মামলারও আসামি। স্থানীয়ভাবে তিনি সাবেক সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমনের ঘনিষ্ঠজন বলে পরিচিত। তিনি শামীম ওসমানের বন্ধু টিপুর শ্যালক। গত ২০ ডিসেম্বর তাকে আটক করার পরও ছেড়ে দেয় ফতুল্লা থানা পুলিশ। অভিযোগ রয়েছে, ওসমান পরিবারের ঘনিষ্ঠতার প্রভাবে তিনি হত্যা মামলার আসামি হওয়ার পরও গ্রেপ্তার হননি। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত ২০ ডিসেম্বর বিকেলে ইসদাইরের ওসমানী স্টেডিয়াম এলাকা থেকে নিয়াজ উদ্দিনকে (৫৫) হেফাজতে নেয় ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। ঘটনাস্থলে ছিলেন ফতুল্লা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রোহান। নিয়াজ উদ্দিন সোনারগাঁয়ে হেফাজত কর্মী ইকবাল হত্যা মামলার ২৯ নম্বর আসামি। সে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে করা মামলারও আসামি। হেফাজতে নেওয়ার পরও একাধিক মামলার এই আসামিকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। জানতে চাইলে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, ‘নিয়াজ উদ্দিন নামে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আমাদের থানাতেও মামলা আছে। উনি আজ আমাদের রেঞ্জে ছিল। কিন্তু তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়নি। আমরা তাকে অবজারভেশনে রাখছি, তাকে হেফাজতে নেইনি। যাচাই-বাছাই না করে যাকে-তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে আমাদের নির্দেশনা রয়েছে।’ হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার না করে অবজারভেশনে রাখা যায় কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের নির্দেশনা আছে, সেই মোতাবেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’ সোনারগাঁ থানার মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল এক নারীসহ সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে অবরুদ্ধ হন হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। তাকে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেখানে পুলিশ ও হেফাজত কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় আহত হেফাজত কর্মী ইকবাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ইকবালের মৃত্যুর ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন আরেক হেফাজত কর্মী শাহজাহান শিবলী। ওই মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক দুই সংসদ সদস্য, তৎকালীন জেলা পুলিশ সুপারসহ ১২৮ জনকে আসামি করা হয়। মামলার ২৯ নম্বর আসামি নিয়াজ উদ্দিন।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা