ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বর্তমানে আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির রাজনীতি নিশচিহ্ন হয়ে গিয়েছে। তৎকালীন আওয়ামী সরকারের স্বৈরতান্ত্রিক কায়দায় রাজনীতির নামে চাঁদাবাজি, লুটপাট জবরদখলের কারণে নারায়ণগঞ্জে রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা দূর থাক পা ফেলতেও ভীত হয়ে যাচ্ছেন আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা। সূত্র মতে, নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে ওসমানীয় ভাইরাসের গ্রাস ছিল। যার প্রভাবে আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির অধিকাংশ নেতারাই বিভিন্ন সেক্টর অনুপাতে ওসমানদের উপদেশ ও নির্দেশে চাঁদাবাজি, লুটপাট জবরদখলের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির অধিকাংশ নেতাকর্মীরা। তবে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগকে নিশচিহ্ন করার নাটের গুরু ছিলেন সাবেক সাংসদ শামীম ওসমান ও নজরুল ইসলাম বাবু। কারণ নারায়ণগঞ্জ জেলা জুড়েই ছিল তাদের প্রভাব। সেই প্রভাবের কারণে নারায়ণগঞ্জ শহর ছাপিয়ে জেলা ও মহানগর এলাকায় অধিকাংশ নেতাকর্মীদের চাঁদাবাজি, লুটপাট জবরদখলের মিশনে নামান। এছাড়া তাদের পরই অবস্থান রয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের কমিটি বাণিজ্য,কমিশন বাণিজ্যসহ নানা অভিযোগ। নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই এবং সাধারণ সম্পাদক ভিপি বাদলের কমিটি বাণিজ্যসহ কমিশন বাণিজ্যের এক মহোৎসব কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছিল। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্বে কমিটি বাণিজ্যের অভিযোগ আছেই সাথে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের দায়িত্ব পালনে সময়কালে দুর্নীতিরও অভিযোগ রয়েছে এবং সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা সর্বদাই নারায়ণগঞ্জ আদালত পাড়ায় হুমদি দামকি প্রভাব বিস্তার করতে আদালাত পাড়ায় এলাকায় পিস্তল তাক করতেও ভুলেননি। এছাড়া মহানগর আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতা হিসেবে কমিটি ও কমিশন বাণিজ্যের শীর্ষে ছিলেন। এছাড়া ওসমানদের ভাইরাসে আওয়ামীলীগের রাজনীতিকে নিশহ্ন করার পিছনে রয়েছে জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের এসকল নেতাদের ব্যাপক অবদান। এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির রাজনীতিতেও ওসমানীয় ভাইরাসের গ্রাস ছিল। যেখানে জাতীয় পার্টির রাজনীতি নিশচিহ্ন হওয়ার মূলে ছিল নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সাংসদ সেলিম ওসমান ও তার বড় ভাই নাসিম ওসমান পতœী পারভীন ওসমান। এছাড়া নাসিম ওসমান পুত্র আজমীর ওসমান কখনো জাপা কখনো আওয়ামীলীগের লেবাস ধরে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা নারায়ণগঞ্জে অত্যাচার নির্যাতনের মহোৎসব পরিচালনা করে নারায়ণগঞ্জকে জিম্মি করে রেখেছিল। এদের কারণেই মূলত বর্তমানে জাতীয় পার্টির রাজনীতি নিশচিহ্ন হয়েছে। তবে তাদের সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সানাউল্লাহ সানু ও সাধারণ সম্পাদক নাইম ইকবাল ও মহানগরে সভাপতি মোদাছেরুল দুলাল ও সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন। তার প্রত্যেকেই কখনো সেলিম ওসমানে ছাঁয়াতলে থেকে বিভিন্ন অন্যায় অপকর্মে লিপ্ত হয়েছিলেন এবং আওয়ামীলীগের স্বৈতান্ত্রিক পথা প্রতিষ্ঠা পরিচালনায় ভূমিকা রেখেছিলেন। আবার কখনো নাসিম ওসমান পতœী পারভীন ওসমান ও পুত্র আজমীর ওসমানের হয়ে জাতীয় পার্টির রাজনীতিকে নিশচিহ্ন করার পিছনে কাজ করেছে।
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের সাথে সাথে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তার দোসররা কেউবা পালিয়েছে আবার কেউ আত্মগোপনে রয়েছে। বিগত পতিত সরকারের আমলে পেশাদার সাংবাদিকরা সব কিছু দেখলেও কোন কিছুই লিখতে পারতনা। আকাঁরে ইঙ্গিতে কোন কিছু লিখলেই সেইসব সাংবাদিকের উপর খর্গ নেমে […]
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামীলীগ সরকারের অকল্পনীয় পতন ঘটে। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগের দিনও ভাবেনি তার সরকারের শুধু পতনই ঘটবে না, বরং তাকে চুপিসারে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হবে। আওয়ামীলীগের পতন ও শেখ হাসিনার পলায়নের পর পরই আওয়ামীলীগের তৃনমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও আত্মগোপনে চলে যায়। এর […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯