দেলপাড়ায় আবাসিক এলাকায় শিল্পকারখানা বর্জ্যে পরিবেশ দুষণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
ফতুল্লার দেলপাড়ায় আবাসিক এলাকায় শিল্পকারখানায় গড়ে উঠায় মারাত্মক ভাবে পরিবেশ দুষিত হচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। আইনকে তোয়াক্কা না করে আবাসিক এলাকায় টেক্সটাইল মিলের কতিপয় প্রভাবশালী এক ব্যক্তি আবাসিক এলাকায় টেক্সটাইল মিল গড়ে তোলায় একদিকে যেমন পরিবেশ দুষিত হচ্ছে অন্যদিকে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। কারখানায় প্রায় সময় দূর্ঘটনা ঘটনার ফলে বসবাসকারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করে। দ্রæত কারখানাটি অন্যত্র সরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করতে জেলা প্রশাসকের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসী জানান, ফতুল্লার পূর্ব দেলপাড়া অবস্থিত পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়া একটি আবাসিক এলাকায় এম আলী টেক্সটাইল মিল কারখানা গড়ে তোলে। কারখানার বর্জ্য সহ বায়ু দুষনে পরিবেশ নষ্ট করছে। কারখানাটি গড়ে উঠার ফলে এলাকায় বসবাসকারীদের বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। কারখানার মেশিনের বিকট শব্দে বসবাসকারী শিক্ষার্থীদের লেখা পড়া বিঘœ সৃষ্টি হয়। এমনকি কারখানায় প্রায় সময় দূর্ঘনা ঘটার পর বসবাসকারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। কারখানায় একাধিক অগ্নিসংযোগ ঘটেছে। এই অগ্নিসংযোগে কারখানার পাশ্ববর্তী বাড়ি ঘরে ক্ষতি সাধিত হয়। গত ২৩ জানুয়ারী দিবাগত-রাত ১টার দিকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এমন একাধিক ঘটনার পর বসবাসকারীরা কারখানার মালিককে টেক্সটাইল মিলটি অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করলেও কোন ধরনের কণর্ণপাত করছে না অভিযোগ এলাকাবাসীর। বসবাসকারী ইউনুস মাস্টারের ছেলে রাব্বি জানান, একটা আবাসিক এলাকায় শিল্প কারখানা গড়ে উঠায় স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। কারখানাটি গড়ে উঠায় পরিবেশ দুষিত করছে। বসবাসকারীদের উচ্ছেদ করার পরিকল্পনায় ইচ্ছাকৃত ভাবে এলাকায় পরিবেশ দুষিত করছে। তাদের কাছে একাধিক বার বলার পরও কোন ধরনের কর্ণপাত করে না। এমনকি ইচ্ছেকৃত ভাবে রহস্যজনক ভাবে অগ্নিসংযোগ সহ বিকট শব্দ তৈরি করে। যাতে করে বসবাসকারীরা বাড়ি ঘর বিক্রি অন্যত্র চলে যায়। পরিবেশ অধিদপ্তর কয়েক লাখ টাকা জরিমানা করলেও এখনো বীরদর্পে আবাসিক এলাকায় শিল্পকারখানা চলছে। নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোবারক হোসেন বলেন, কারখানার বিষয় খোজ খবর নিয়ে ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর এলাকাবাসী অভিযোগ করলে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।