আজ বৃহস্পতিবার | ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৬ মাঘ ১৪৩১ | ২৯ রজব ১৪৪৬ | দুপুর ১২:৫৬

সরকারি কোয়াটার ভাড়া দিয়ে মাসে লাখ টাকা আয়

ডান্ডিবার্তা | ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৮:৫৯ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
সিদ্ধিরগঞ্জে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের সরকারি কোয়াটারের যায়গায় দোকান ভাড়া দিয়ে মাসে লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে মাসুদুর রহমান নামের এক অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে মাসুদুর রহমান নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অফিস সহকারী কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে গত ১৭ বছর ধরে কর্মরত রয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে গেলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, অফিস সহকারী কম্পিউটার অপারেটর মাসুদুর রহমান সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগে কর্মরত থাকায় সরকারি ভাবে তাকে বসবাস করার জন্য কোয়াটার দেওয়া হয়। জানা যায়, মাসুদুর রহমান তার নিজ এলাকায় কর্মস্থল হওয়ায় সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সরকারি ভাবে দেয়া কোয়াটারের যায়গায় মোটা অংকের টাকা অগ্রিম নিয়ে দোকান ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সেখানে প্রায় ১০টি দোকান নির্মাণ করে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। সূত্রে আরও জানা যায়, সরকারি ভাবে কোয়াটারে রান্নার জন্য গ্যাস ব্যবহারের নিয়ম থাকলেও সেখানে গিয়ে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় সেখানে কোয়াটারের গ্যাস ব্যবহার হচ্ছে ভাড়া দেওয়া বেকারীতে। যার মাসিক ভাড়া লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন অফিস সহকারী মাসুদুর রহমান। তার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে, তিনি নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের বাহিরে সওজের পশ্চিম পাশে অস্থায়ীভাবে প্রায় ৩০ টি টং দোকান বসিয়েছেন। মসজিদের নাম বলে প্রতিটি দোকান থেকে মাসুদুর রহমান দৈনিক ৫০-১০০ টাকা করে চাঁদা নেন। গোপন সূত্রে জানা যায় এই চাঁদাবাজির টাকা মাসুদুর রহমানসহ আরও বেশ কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তা ভাগাভাগি করে নেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, তিনি (মাসুদুর রহমান) দীর্ঘদিন ধরে এখানে চাকরী করছেন। সরকারি ভাবে দেওয়া যায়গা ভাড়া দেওয়া অন্যায়। যতুটুকু জানি তার সাথে আরও কয়েকজন কর্মকর্তা জড়িত রয়েছে বলে জানান তিনি। তবে মাসুদুর রহমানের সাথে জড়িত ওই কর্মকর্তাদের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি। এদিকে বিষয়টি স্বীকার করে নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগে কর্মরত কম্পিউটার অপারেটর মাসুদুর রহমান বলেন, সরকারি জায়গায় কেউ স্থায়ী ভাবে বসবাস করতে পারে না। আমি অন্য জায়গায় থাকি তাই সরকার আমাকে থাকার জন্য যে জায়গা দিয়েছে সেখানে আমি দোকান করে ভাড়া দিয়েছি। আমারও তো সংসার আছে। সরকারের যখন প্রয়োজন হবে তখন ভেঙে দিবো। কোয়াটারে রান্না করার গ্যাস বেকারীতে ভাড়া দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন, আমি ১৭ বছর ধরে এখানে চাকরী করছি। সবাইকে ম্যানেজ করেই এখনো টিকে রয়েছি। ম্যানেজ না করে চললে এতো দীর্ঘদিন থাকতে পারতাম না। তাই সংবাদ প্রকাশ না করতে প্রতিবেদকে আর্থিক সুবিধারও প্রস্তাব দেন ওই অফিস সহকারী মাসুদুর রহমান। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী হাসানউল্লাহ মজুমদার মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি বাহিরে আছি, অফিসে গিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখবো বলে জানান তিনি।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা