আজ শনিবার | ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১৮ মাঘ ১৪৩১ | ১ শাবান ১৪৪৬ | সকাল ১০:১৬

সাংগঠনিক শক্তি বাড়াচ্ছে বিএনপি

ডান্ডিবার্তা | ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৯:৩৯ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসায় আন্দোলন কর্মসূচি থেকে সরে এসেছে বিএনপি। তৃণমূল পর্যায়ে দল গুছানোর কাজ শেষ করে মেয়াদোত্তীর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড ওর্যায়ের কমিটিও পুনর্গঠন করতে চায় দলটি। এ জন্য ইতিমধ্যেই তৎপর হয়েছে দলের সিনিয়র নেতারা। সূত্র মতে, পতন হওয়া স্বেরচারী সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন জোরদার করার পরিকল্পনা ছিল বিএনপির। সেভাবেই দলের নেতাকর্মীরা প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দীর্ঘদিন রাজনৈতিকভাবে বেকায়দায় থাকা বিএনপিকে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দিয়েছে। এ আন্দোলনের কারণে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপি নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা মুক্তি পেয়েছেন। মুক্তি পেয়ে তারা এখন রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছেন। এমনকি সাধারন মানুষের পাশে থেকে সব ধরনের সহযোগিতা চালিয়ে যাচ্ছেন। সূত্র জানায়, বিএনপির সামনে এখন প্রধান লক্ষ্য দল গুছিয়ে পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি জোরদার করা। এ জন্য যা যা করণীয় তাই এখন দলের নেতাকর্মীরা করবে। দীর্ঘদিন আন্দোলন করে ক্লান্ত নেতাকর্মীদের মনোবল এখন চাঙ্গা। তাই দলের যে কোনো কর্মসূচিতে এখন তাদের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এদিকে দল গোছানোর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় বিএনপির অধিকাংশ নেতাকর্মী চায় উপজেলা ও ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে থাকা মেয়াদোত্তীর্ন কমিটিগুলোর পূর্ণ সংষ্কার করা। জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন সিকদার বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর স্বেরাচার সরকারের নিয়ন্ত্রনে দেশ পরিচালিত হয়ে আসছিল। গণতন্ত্র হরনের মাধ্যমে সাধারন মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। এবার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারী এ সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে জুলুমের অবসান ঘটেছে। তাই আমরা গনতন্ত্র ফিরিয়ে এনে জনগনের ভোটাধিকারের মাধ্যমে নতুন সরকার গঠনের উদ্যোগ নিচ্ছি। জনগণ যাকে দায়িত্ব দিবেন তারাই দেশ পরিচালনা করবেন। এজন্য নির্বাচনের প্রস্তুতিসহ মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলো ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছি। জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুকুল ইসলাম রাজীব বলেন, আমাদের মনোবল শক্তই আছে। দেশের মানুষ আমাদের পক্ষে আছে, জনগণ এই সরকারকে ভোট দেয়নি। আমি মনে করি আমরা ব্যর্থ হইনি। সবাই যার যার জায়গা থেকে দল গোছাচ্ছে। আর শুধু ক্ষমতায় যাওয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য নয়। আমরা আছি মানুষের ভালোবাসার দল হিসেবে। মহানগর বিএনপির আহŸায়ক সাখাওয়াত হোসেন খাঁন বলেন, কষ্টের তো শেষ নেই। আমাদের শীর্ষ নেতা থেকে তৃণমূল পর্যন্ত অসংখ্য নেতা-কর্মীর নামে শত শত মামলা দেওয়া হয়েছে। কারও কারও নামে ৩০-৪০ মামলার খড়্‌গ। এসব মামলায় জামিন পেলেও মাসজুড়ে হাজিরা দিতে হচ্ছে। আমাদের মহাসচিব বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমকে বলেছেন, দলের অনেক নেতা-কর্মী নিরুপায় হয়ে রিকশা চালান। এতকিছুর পরও কেন্দ্র থেকে তৃণমূল, কোথাও দল ত্যাগ করার তেমন প্রবণতা দেখা যায়নি। এটি অত্যন্ত ইতিবাচক।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা