আজ শুক্রবার | ১৪ মার্চ ২০২৫ | ১ চৈত্র ১৪৩১ | ১৩ রমজান ১৪৪৬ | দুপুর ১:৪৫
শিরোনাম:
বিএনপির শেল্টারে আওয়ামী দোসর জহির মোল্লা এখন বেপরোয়া    ♦     ফুটপাত দখল করে ইফতার বাজার    ♦     শিশু সন্তানকে জিম্মি করে গৃহবধূকে সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণচেষ্টা    ♦     থামছেনা ফতুল্লা বিএনপির উত্তেজনা    ♦     ব্যস্ততম সড়কে সংস্কার কাজের ধীর গতিতে বাড়ছে জনভোগান্তি    ♦     গ্রিন অ্যান্ড ক্লিন’ কার্যক্রমে না’গঞ্জে ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ    ♦     না.গঞ্জে আ.লীগ নেতাসহ ৪৭ জন গ্রেপ্তার    ♦     মাগুরার সেই শিশুটি কী বলে গেল    ♦     মাগুরায় ধর্ষিতা শিশুর মৃত্যুতে দায়িদের শাস্তির দাবিতে নারায়ণগঞ্জে কাফন মিছিল    ♦     নাসিক এলাকায় ১৩৩৯৮২ জন শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল    ♦    

কোন পথে হাটবে জেলা বিএনপি!

ডান্ডিবার্তা | ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১০:৪০ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নতুন আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে। গত রোববার ৫ সদস্যের আহবায়ক কমিটি ঘোষনার পর জেলা বিএনপিতে একটা স্বস্তি দেখা দিয়েছে। কারণ গত ডিসেম্বরে জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছিল। তখন বিএনপি নেতারা এক প্রকার নেতৃত্ব শূন্যতায় ভোগছিলেন। তবে এখন নতুন করে জেলা বিএনপির নেতাদের নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। কারণ স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগের শাসনামলে দলের দুঃসময়ে ছুরিকঘাতের শিকার হয়েছিলেন মামুন মাহমুদ। কালক্রমে তিনি এখন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক। সিনিয়র নেতাদের পেছনে ফেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কাÐারী হয়েছেন তিনি। একই কমিটিতে আবার রয়েছেন সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দিন। ছুরিকাঘাতের ঘটনায় পুলিশের দেওয়া চার্জশীটে অভিযুক্ত ছিলেন গিয়াসউদ্দিনের ছেলে সহ ঘনিষ্ঠজনেরা। দোষের তালিকাতে ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী। এ অবস্থায় মামুন মাহমুদ কি প্রতিশোধ নিবেন নাকি সহশীল রাজনীতি করবেন সেটা নিয়ে রয়েছে নানা গুঞ্জন। তবে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন সকলকে নিয়ে রাজনীতি করতে চান। গত রোববার ঘোষিত কমিটিতে আহবায়ক হয়েছেন অধ্যাপক মামুন মাহমুদ। প্রথম যুগ্ম আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপু। যুগ্ম আহবায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব ও শরীফুল ইসলাম টুটুল। সদস্য হয়েছেন মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন। দলের নেতাকর্মীরা বলছেন, সজ্জন রাজনীতিবিদ হিসেবে মাহমুদ সকলের কাছেই গ্রহণযোগ্য। সে কারণে তাঁকে আহবায়ক করার পেছনে কারো কোন আপত্তি ছিল না। বিশেষ করে ৫ আগস্টের পর যখন সকলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তখন বিতর্কের বাইরে ছিলেন মামুন। সেটার পুরস্কার দিয়েছেন তারেক রহমান। তবে তিনি আহবায়ক হওয়ার পর জটিলতা দেখা দিতে পারে বিভিন্ন ইউনিট কমিটি নিয়ে। কারণ ফতুল্লার কমিটি ছিল আগে গিয়াসউদ্দিনকেন্দ্রীক। এছাড়া তার বিরোধী হিসেবে খ্যাত রিয়াদ চৌধুরীর সঙ্গে আবার মামুন মাহমুদের দূরত্ব আছে। ফলে মামুন চাইবে তার অনুসারীদের নিয়ে কমিটিগুলো করতে। বিগত দিনে কমিটি ছাড়াই নিজের লোকবল নিয়ে একাই লড়েছেন তিনি। ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল পল্টনে জেলা বিএনপির বৈঠক শেষে বের হবার পর কস্তুরি রেস্টুরেন্টের সামনে মামুন মাহমুদকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এ ঘটনায় স্থানীয়রা জুয়েল নামে একজনকে আটক করে পুলিশে দেয়। পরে জুয়েলের মোবাইলে কল লিস্ট ও তার দেয়া তথ্যে জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি সাগর সিদ্দিকিকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় পরবর্তীতে মামুন মাহমুদের স্ত্রী বদরুন্নাহার বাবলী বাদী হয়ে পল্টন থানায় মামলা করেন। মামলায় জুয়েলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনদিনের রিমান্ডে আনে। ঘটনার ৩ দিন পর গিয়াস উদ্দিনের সিদ্ধিরগঞ্জস্থ বাড়ি মুক্তিযোদ্ধা নিবাসে অভিযান চালায় পল্টন থানা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। অভিযানের খবর টের পেয়ে আগেই সটকে পড়েন গিয়াসউদ্দিন ও তার ছেলে রিফাত। তখন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে জুয়েল স্বীকার করে, বিএনপির একজন কর্মী হিসেবে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তার নিয়মিত যাতায়াত ছিল। সেখানে তার সঙ্গে হৃদয়ের পরিচয় হয়। কিছুদিন আগে হৃদয় জুয়েলকে জানায় একজনকে মারতে হবে। তাই কিছু লোক ঠিক করে দিতে হবে। জুয়েল নিজেই পারবে বলে কাজটি নিজে নিয়ে নেন। ঘটনার আগের দিন হৃদয় ও রিফাত ঢাকা গিয়ে মামুন মাহমুদকে হত্যা করতে জুয়েলকে নির্দেশ দেয়। জুয়েল মামুন মাহমুদকে চেনে না জানালে হৃদয় ও রিফাত জানায় সাগর সিদ্দিকী তাকে মামুনের অফিস ও ছবি দেখিয়ে দেবে। পরে তাকে মামুন মাহমুদের অফিস ও ছবি দেখিয়ে দেয় সাগর সিদ্দিকী। এ সাগর সিদ্দিকী আগে থেকেই রিয়াদ চৌধুরীর রাজনীতি করেন। এ মামলায় চার্জশীট দেওয়া সাতজন হলেন ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের সাবেক সংসদ গিয়াসউদ্দিন পুত্র গোলাম মো. কাউসার ওরফে রিফাত, গিয়াস উদ্দিনের ব্যক্তিগত সহকারী পল্টু কর্মকার, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি দিদার আলম ওরফে সাগর সিদ্দিকী, নাসিক ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন, রিফাতের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হৃদয়, হামলাকারী জুয়েল মীর এবং জেলা বিএনপির সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার। তখন অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, আমি কাউকে আসামি করে মামলা করি নাই। পুলিশ তদন্ত করে যাদের দোষী মনে করেছে তাদের বিরুদ্ধেই চার্জশীট জমা দিয়েছে। এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নাই। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমার প্রত্যাশা থাকবে, যারা এ ঘটনায় জড়িত প্রশাসন তাদের সকলের বিচার করবে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা