ডেভিলহান্ট নিয়ে সন্ত্রাসীরা আতংকে

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়নগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা চরম অবনতি ঘটেছে। দেখা দিতয়ে চরম বিশৃঙ্খলা। তাই জেলা জুড়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ সন্ত্রাসীদের দমনে অপারেশন ডেভিলহাট অভিযান পরিচালনা করা হবে জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অবৈধ অস্ত্রধারীদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ বাহিনী সারা দেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জেও সাঁড়াশি অভিযানে নামছে বলে জানা গেছে। অস্ত্র উদ্ধারে এবারের অভিযান হবে কঠোর। শান্ত নারায়ণগঞ্জকে অস্থিতিশীল করতে কারা অস্ত্র সংগ্রহ করছে তাদেরও চিহ্নিত করা হচ্ছে। সূত্র বলছে, একটি মহল নারায়ণগঞ্জকে অস্থিতিশীল করতে অস্ত্র সংগ্রহ করছে। পুলিশ ও গোয়েন্দা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ইতিমধ্যে সন্ত্রাসীদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। স¤প্রতি, যৌথ অভিযান অব্যাহত থাকলেও কিছুদিন পর ওই অভিযান কিছুটা শিথিল হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় নতুন করে আবারও গতি পাচ্ছে যৌথ বাহিনীর অভিযান। জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন, নারায়ণগঞ্জকে যারা অস্থিতিশীল করতে চায় তাদের বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবে না। স¤প্রতি সন্ত্রাসীদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যাদের কাছেই অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সূত্র জানায়, আগে থেকেই সন্ত্রাসীদের হাতে অবৈধ অস্ত্র রয়েছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে গণ-অভ্যুত্থানের সময় থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র। আবার যাঁরা বৈধ লাইসেন্সের মাধ্যমে অস্ত্র নিয়েছিলেন তাঁদের সহস্রাধিক অস্ত্রও বর্তমানে অবৈধ। ফলে অবৈধ অস্ত্র দিয়ে বড় ধরনের কোনো নৈরাজ্যকর ঘটনা যাতে না ঘটাতে পারে এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ তৎপরসহ সন্ত্রসীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।অন্যদিকে এই ভাবনাকে আরো বাড়িয়ে তুলেছে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের সদস্যদের হাতেও অস্ত্র রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী যাঁরা অস্ত্র জমা দেননি তাঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা রয়েছেন। ওই অস্ত্রগুলো বর্তমানে অবৈধ। এদিকে জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন সিকদার বলেন, নারায়ণগঞ্জে স্বেরাচারী আওয়ামী সন্ত্রাসীরা নানা ভাবে শান্ত নারায়ণগঞ্জকে অশান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা বিএনপি নেতাকর্মীদের দমন নীপিড়নে গুপ্ত হত্যা চালাচ্ছে। গত শুক্রবার ভোরে ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবকদলের যুগ্ন আহŸায়ক মামুনকে গুলি করে হত্যা করে। হত্যার ২৪ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও জড়িত কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি প্রশাসন। এছাড়াও, নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালাতে হবে। তিনি আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ১৬ বছরে যাঁদের রাজনৈতিকভাবে অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল তাঁদের অনেকে অস্ত্র জমা দেননি। তবে লাইসেন্সকৃত বেশির ভাগ অস্ত্রই পুলিশ জব্দ করেছে। কিন্তু লুট হওয়া অনেক অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি, যেগুলো জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার চেষ্টা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।