আজ শনিবার | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১ | ২২ শাবান ১৪৪৬ | বিকাল ৩:০৯
শিরোনাম:
রানার হাতে যে ভাবে মিলে যাদুর চেরাগ    ♦     ডেভিল হান্ট আতঙ্কে আ’লীগ    ♦     ২১’শের রক্তাক্ত পথ ধরেই দেশের জনগণ শৃঙ্খলমুক্ত হয়    ♦     জাতিকে অস্থিরতায় না রেখে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন    ♦     বন্দরে মহানবীকে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ    ♦     অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে চলতো চুনা কারখানা    ♦     অনন্ত অ্যাপারেলসের শ্রমিকদের অসন্তুষ এখনো থামেনি    ♦     অর্থের বিনিময়ে তাঁতীলীগ নেতা এখন স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি!    ♦     বন্দরে মহানবী (সাঃ)কে নিয়ে কটুক্তিকারীদের বিরুদ্ধে মামলা    ♦     বন্দরে হাজী সিরাজ উদ্দিন স্কুলে চুরি চোর সিন্ডিকেটের ৯জন আটক    ♦    

না’গঞ্জে নৈরাজ্য সৃষ্টির পায়তারা

ডান্ডিবার্তা | ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১০:০৯ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
সারা দেশের মত নারায়ণগঞ্জকে অস্থিতিশীল করতে পতিত আওয়ামীলীগ সরকারের প্রধান শেখ হাসিনা এবার ভারতে বসে নতুন কৌশলে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার দুর্নীতি ও তার দোসররা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে হাতিয়ার হিসাবে বেছে নিয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিগত ১৬ বছরে আওয়ামীলীগের নামে শত শত কোটি টাকা বিভিন্ন নেতাকর্মী লোপাট করেছে। এরা এখন নারায়ণগঞ্জকে অস্থিশিীল করতে অবৈধ ভাবে অর্জিত অর্থ দিয়ে বিভিন্ন কায়দায় অপপ্রচার করার পাশাপাশি রাতারাতি বিএনপির বড় নেতা বনে যাওয়া ব্যক্তিদের অর্থবিত্ত দিয়ে বিএনপির লেবাস নিয়ে নারায়ণগঞ্জকে অস্তিতিশীল করার পায়তারা করছে। এদিকে শেখ হাসিনার যে বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে তাকে স্পষ্ট দেশকে অস্থিতিশীল করার নির্দেশনা। যেভাবে শেখ মুজিব বাকশাল কায়েম করার চেষ্টা করেছিল সেই একই কায়দায় শেখ হাসিনা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালে দেশে অঘোষিক বাকশালী রাজত্ব কায়েম ছিল। ৫ আগষ্টে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর সেই বাকশালী রাজত্ব তছনছ হয়ে গেলে বিপাকে পড়ে যায় আওয়ামী দোসররা। শেখ হাসিনার স্বৈরাতন্ত্রের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা এক হয়ে রাজপথে নেমে আসে। একমাত্র শেখ হাসিনার দোসর ছাড়া দেশের সকলেই আওয়ামী দু:শাসনের কবলে নিস্পেষিত ছিল। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার অপশাসন থেকে দেশকে রক্ষা করতে ২ সহশ্রধিক ছাত্র-জনতা ও শিশুদের জীবন দিতে হয়েছে। তাতেও শেখ হাসিনার কোন অনুশোচনা নেই। পালিয়ে গিয়ে ভারতে বসে একের পর এক ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। সে প্রথমে ভারতীয় মিডিয়াকে ব্যবহার করে দেশ নিয়ে প্রভাকান্ড ছড়ায়। পরে এতে ব্যর্থ হয়ে সীমান্তে বিএসএফকে ব্যবহার করে সীমান্তে উত্তেজনা সৃষ্টি করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিভ্রত করার চেষ্টা চালায়। তাতেও ব্যর্থ হয়ে সরাসরি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করে। যে কারণে ছাত্র-জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে তার পৈত্রিক বাড়িসহ তার দোসরদে বাড়িঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। জনরোষে রেহাই পায়নি ধানমন্ডির ৩২ নাম্বারের শেখ মুজিবের বাড়ি, নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগের জন্মস্থান খ্যাত সাবেক সাংসদ শামীম ওসমানের পৈত্রিক বাড়ি বাইতুল আমান। শেখ হাসিনার একপেশে বক্তব্যে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়ে সরকার বাধ্য হয়ে অপারেশন ডেভিল হান্ট নামক সন্ত্রাস নিমূল অভিযান শুরু করে। আর এতে দু:চিন্তায় পড়ে যায় দেশের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী দোসরসহ ৫ আগষ্টের পর যারা লুটপাট ও হাট-মাঠসহ বিভিন্ন সেক্টর দখলকারীরা। এ অপারেশন অপরাধী কাউকে ছাড় দেবেনা বলে জানা গেছে। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার শাসনামলের দু:শাসনের চিত্র তুলে ধরে জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা অঞ্চল দক্ষিণের পরিচালক ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন বলেছেন, বিগত ১৫ বছরে আমাদের বহু নেতৃবৃন্দকে গুম, খুন, হত্যা করা হয়েছে। আমাদের বাড়িঘর বুলডোজার দিয়ে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। স্বরণ করছি সেসকল মহান নেতৃবৃন্দদের, যারা ফাঁসির কার্যেও হাসতে হাসতে গিয়েছে এবং নিজেদের জীবন দিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু জালিম সরকারের সাথে কোনো আপোস করেন নাই। হাসিনা বলেছিলো যে হাসিনা পালায় না। কিন্তু হাসিনা এমনভাবেই পালিয়েছে যে গণভবনে তার দুপুরের খাবার তৈরি হয়েছিলো, কিন্তু খাওয়ার সময় সে আর পায়নি। দেশের বর্তমান অবস্থা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে শহীদদের সাহায্য পৌছানো যাচ্ছে না। আমরা এটাকে বলবো আমলাতান্ত্রিক অসহযোগিতা। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় এখনো আওয়ামী আমলারা বসে আছে। দ্রæত তাদেরকে অপসারণ করতে হবে। আমরা কি দেখতে পেলাম, হাসিনা প্রতিদিনই এটা সেটা লুট করছে। লুট করতে করতে দেশের সমস্ত সম্পদ বিদেশে নিয়ে গেছে। হাসিনার ভাগ্নের ইতিমধ্যে ব্রিটেনে মন্ত্রীত্ব হারিয়েছে দুর্নীতি করার জন্য। এই ফ্যাসিস্ট পরিবাররা পারে বাকশাল জন্ম দিতে, লুট করতে, ব্যাংক ডাকাতি করতে, বিচার ব্যবস্থা ধ্বংস করতে। এরা বাংলাদেশের দুশমন। জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমদ বলেছেন, এই নারায়ণগঞ্জ থেকে ছাত্রজনতার আন্দোলনের মাধ্যমে শামীম ওসমানসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী লোকেরা ও বাংলাদেশের স্বৈরাচারী সরকার হাসিনাসহ সকলে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু তারা পালিয়ে যাওয়ার পরও তাদের কিছু দোসর এখনো বাংলাদেশে অবস্থান করছে। তারা এখনো কিভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করে? একটি শ্রেনী তাদের সুযোগ করে দিচ্ছে বাংলাদেশে থাকার জন্য। তারা যতদিন বাংলাদেশে থাকবে, ততদিন বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা হবেই। সরকারের কাছে আবেদন, যতদ্রæত সম্ভব তাদের বিচারের আওতায় আনানোর ব্যবস্থা করুন। নারায়ণগঞ্জ মহানগর জামায়াতের সভাপতি মাওলানা আব্দুল জব্বার বলেছেন, জুলাই-আগষ্টের হত্যাকাÐের সাথে জড়িত আওয়ামী লীগের খুনি দোসর শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমানসহ চিহ্নিত কাউকে আমরা এখনো গ্রেফতার করতে দেখি নাই। অবিলম্বে এদেরকে গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার অনেক দোসর এখনো দেশের মাটিতে ঘাপটি মেরে আছে। তারা সুযোগ খুজছে কখন দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করা যায়। এ জন্য অপরাধী যে দলেরই হউক তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনলেই দেশে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করতে ভয় পাবে। তখনই মানুষ শান্তি পাবে আর প্রকৃত স্বাধীনতা ভোগ করতে পারবে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা