আজ শনিবার | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১ | ২২ শাবান ১৪৪৬ | বিকাল ৪:১৫
শিরোনাম:
রানার হাতে যে ভাবে মিলে যাদুর চেরাগ    ♦     ডেভিল হান্ট আতঙ্কে আ’লীগ    ♦     ২১’শের রক্তাক্ত পথ ধরেই দেশের জনগণ শৃঙ্খলমুক্ত হয়    ♦     জাতিকে অস্থিরতায় না রেখে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন    ♦     বন্দরে মহানবীকে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ    ♦     অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে চলতো চুনা কারখানা    ♦     অনন্ত অ্যাপারেলসের শ্রমিকদের অসন্তুষ এখনো থামেনি    ♦     অর্থের বিনিময়ে তাঁতীলীগ নেতা এখন স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি!    ♦     বন্দরে মহানবী (সাঃ)কে নিয়ে কটুক্তিকারীদের বিরুদ্ধে মামলা    ♦     বন্দরে হাজী সিরাজ উদ্দিন স্কুলে চুরি চোর সিন্ডিকেটের ৯জন আটক    ♦    

আজমেরীর ক্যাডাররা এখন প্রকাশ্যে

ডান্ডিবার্তা | ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১০:৪৪ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
একটা সময় আজমেরী ওসমানের নামে কাঁপতো পুরো শহর। তার সশস্ত্র হোন্ডার বাহিনী দাপিয়ে বেড়াতো সদর-বন্দরসহ বিভিন্ন এলাকা। যেদিক দিয়ে তারা যেতো মানুষ তাকিয়ে থাকতো। ভাব নমুনা দেখলে মনে হতো তারাই এ নারায়ণগঞ্জের হর্তাকর্তা। একচুয়ালি, বাস্তবেও ছিলো তাই। তারা এ নারায়ণগঞ্জের মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অনেকটা কোনঠাসা করে রেখেছিলো। যারফলে ভয়ে কেউ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার মত সাহসটুকু পেতো না। কেননা, হত্যা, চাঁদাবাজী, মাদক ব্যবসা ও ভ‚মিদস্যুসহ এমন কোন অপকর্ম নেই যার সাথে এ আজমেরী ওসমান বাহিনী জড়িত ছিলো না। তার বিরুদ্ধে একটি নয়, দুটি নয় ছিলো ১৬টি হত্যা মামলা। এসব হত্যা মামলার মধ্যে মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী, সাংস্কৃতিক কর্মী দিদারুল আলম চঞ্চল, মিঠু ও আশিক ইসলামের হত্যাকান্ডগুলো বেশি আলোচিত। এত হত্যা মামলার পরও তিনি ছিলেন বহাল তবিয়তে। আজমেরী ওসমান ছিলেন এ নারায়ণগঞ্জের স্বঘোষিত যুবরাজ। তবে তিনি হাজীসাব নামে সর্বত্র পরিচিত ছিলেন। তার মা পারভীন ওসমানেরও এ শহরে আলাদা একটা পরিচয় ছিলো। তাকে আজমেরী ওসমানের সন্ত্রাসীবাহিনীরা ‘আম্মাজান’ বলে ডাকতেন। এ যেন কাজী হায়াতের পরিচালিত ‘আম্মাজান’ চলচ্চিত্রেরই দ্বিতীয় পার্ট। আম্মাজান চলচ্চিত্রে যেমন নায়ক মান্না ছিলো কুখ্যাত সন্ত্রাসী এবং তার মাকে তার বাহিনীর সকল সদস্যরা আম্মাজান বলে ডাকতো। ঠিক তেমনি আজমেরী ওসমানও ছিলো এ শহরের কুখ্যাত সন্ত্রাসী এবং তার মাকেও তার বাহিনী সদস্যরা আম্মাজান বলে ডাকতেন। যেন ওই চলচ্চিত্রটিই নারায়ণগঞ্জবাসীর কাছে বাস্তবে এনে দাঁড় করিয়েছিলো এ ওসমান পরিবার। আজমেরী ওসমানের নারায়ণগঞ্জের পাশাপাশি বন্দরেও তার প্রভাব কম ছিলো না। বন্দরে তার নির্দেশে ড্রেজার নিয়ন্ত্রণ, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজী, ভ‚মিদস্যুতা সকল অপকর্ম তার অনুসারিরা নিয়ন্ত্রণ করতেন। ৫ আগস্টের পর আম্মাজানকে নিয়ে সেই কুখ্যাত আজমেরী ওসমান পালিয়ে গেলেও এখনও রয়ে গেছে তার অনুসারিরা। কিছুদিন তারা গা ঢাকা দিয়ে থাকলেও এখন তাদেরকে গর্তে থেকে বের হতে দেখা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, দিন দিন তারা বিএনপি নেতাদের আশ্রয়ে চলে যাচ্ছে। ফলে আগের মতই অনেকটা বেপরোয়া হয়ে উঠতে দেখা যাচ্ছে আজমেরী ওসমানের অনুসারিদের। জানাগেছে, বন্দর ২২নং ওয়ার্ডে একটা সময় আজমেরী ওসমানের পালিত সন্ত্রাসী মো: সানী হোসাইনের দাপুটের কারণে তার সামনে কেউ দাঁড়াতেই পারতেন না। এক কথায় তার কাছে পুরো ওয়ার্ডবাসী ছিলো জিম্মি। কাউকে তোয়াক্কা করতেন না তিনি। আজমেরী ওসমানের ক্যাডার হওয়ায় পুরো এলাকা মাদক ও সন্ত্রাসীদের স্বর্গরাজ্যে পরিনত করেছিলো। তারা এমন কোন অপকর্ম নাই যার সাথে জড়িত ছিলো না। ছিনতাই, চাঁদাবাজী, বিচার-শালিসের নামে অর্থ আদায়, ভ‚মিদস্যুতা সকল অপকর্মের সাথে সরাসরি জড়িত থেকে এলাকাবাসীকে অনেকটা অতিষ্ঠ করে ফেলেছিলো। ৫ আগস্টের পর সানির ওস্তাদ আজমেরী ওসমানরা পালিয়ে গেলে তিনিও বেশ কিছুদিন আত্মগোপনে ছিলেন। পরে ধিরে ধিরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতেই ফিরে আসেন সেই পুরনো রূপে। সূত্রমতে, স্থানীয় কয়েকজন বিএনপি নেতা শেল্টার দেয়ার কারণে ফের উত্থান হয়েছে আজমেরী ওসমানের ক্যাডার হিসেবে সর্বজন পরিচিত সানির। বর্তমানে তিনি ওইসব বিএনপি নেতাদের আশ্রয়ে থেকে পূর্বের মতই তার সকল অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানাগেছে। সূত্রটির আরও দাবি করেছে, যেসকল বিএনপি নেতারা সানিকে আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছে তাদের সাথে আজমেরী ওসমানের একটা বিরাট যোগসাজস রয়েছে। আজমেরী ওসমানের অনুরোধেই নাকি ওইসকল বিএনপি নেতা সানির প্রতি খেয়াল রাখছেন। এদিকে দিনে দিনে প্রায় প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় সানিদের মত সন্ত্রাসীদের ফের উত্থানে হতাশা প্রকাশ করেছেন সচেতন নগরবাসী। তারা বলেছেন, ফ্যাসিস্টরা পালিয়ে যাওয়ায় ভেবেছিলাম কিছুটা শান্তিতে থাকতে পারবো। কিন্তু না। কিছু অসাধু নেতাদের কারণে আমরা শান্তিতে থাকতে পারছিনা। তারা ওই ফ্যাসিস্টদের সাথে আঁতাঁত করে পুনরায় তাদের প্রতিষ্ঠিত করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। আমরা এসকল ঘটনার নিন্দা জানাই। পাশাপাশি বলতে চাই, আপনারা যদি এসব অপকর্ম করে ছাত্র-জনতার রক্তের সাথে বেঈমানি করেন, তাহলে আপনাদের পরিনতিও খুব একটা ভালো হবে না। তাই আপনাদের অনুরোধ করছি এসকল মানুষদের আশ্রয় প্রশ্রয় না দিয়ে বরং তাদেরকে গ্রেফতারে পুলিশকে সহযেীতা করুন। তাহলে দেশের মঙ্গল হবে। নয়তো, তারা এ দেশকে ধ্বংসের দৌড়গোড়ায় নিয়ে যাবে, কাউকে শান্তিতে থাকতে দেবে না।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা